নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ এবং এর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি আংশিক সংশোধন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এ নিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই কমিটি সরকারকে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবেন। যে সকল চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সরকারকে পরামর্শ ছাড়াও করোনার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য ও গ্যাস্ট্রো অ্যান্ট্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএ সভাপতি ও সাবেক এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত, অবসট্রেটরিকেল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, আইসিডিডিআরবির ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডা. শামসুল আরিফিন, সিনিয়র এনেসথিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন সাত্তার, অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মোহিত এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্টার সুরাইয়া বেগম।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ আট জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং এ কমিটি উভয় প্রয়োজনবোধে যেকোনো কমিটির এক বা একাধিক সদস্যের সাথে মত বিনিময় করতে পারবেন। কমিটি প্রয়োজনে এর সদস্যপদ পরিবর্তন করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।